বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণের সময় বেশিভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল মাথায় ভেড়ার পশম পরে কেন? এটা কি শুধুই ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেওয়া কোনো রীতি নাকি কোনো ব্যাখ্যা আছে ভেড়ার পশমের পরচুলা পরার। ইতিহাস থেকে জানা যায় যুক্তরাজ্যে আদালতে ড্রেস কোডের প্রচলন শুরু হয় ১৭ শতাব্দীতে। তৎকালীন সময়ে বিচারক ও আইনজীবীরা বিভিন্ন রঙের গাউন, ব্যান্ড ও পরচুলা পরে থাকতো যার কিছু প্রচলন এখনো রয়েছে।
সময়ের সাথে সাথে ব্রিটিশদের শাসনকৃত দেশগুলোতেও আদালতের ড্রেসকোড প্রচলন শুরু হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ব্রিটিশদের সাদা লম্বা পরচুলা পড়ার রেওয়াজ ইতোপূর্বে বাংলাদেশের প্রায় সব বিচারকদের পরতে দেয়া হতো। এখন শুধু প্রধান বিচারপতি এই পরচুলা পরে থাকেন।
কিন্তু বিচারকের পরচুলা পরিধান ছাড়া যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এখনো কোনো বিচারকার্য সম্পন্ন হয়না। সাদা চুলের পরচুলা পড়ার পিছনে ব্যাখ্যা হলো, সাদাচুল বৃদ্ধ মায়ের প্রতীকী, বৃদ্ধ মা যেমন সব সন্তানের প্রতি সমান স্নেহপরায়ণ তেমনি ভাবে সকং সন্তান তার কাছে সমান বলে বিবেচ্য। তার ভিতর সবার প্রতি সমান বা ন্যায়বিচার করার মানসিকতা থাকে। একজন বিচারক বাদী বা বিবাদীর মাঝে মা সমতুল্ল্য। যার মাধ্যমে বিচার কার্যে কোনো পক্ষপাতির অবকাশ থাকে না