আর এস খতিয়ান হলো সর্বশেষ জরিপ খতিয়ান। দেশের বেশিরভাগ জেলায় আরএস/বিএস খতিয়ান হলো সর্বশেষ জরিপ খতিয়ান। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে বিএস খতিয়ানকে সিটি জরিপ বলা হয় সিটি জরিপ/ঢাকা মহানগর জরিপ বলা হয়। যা গেজেট প্রকাশের পর উপজেলা সিলেটমেন্ট অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডিসি অফিসে পাওয়া যায়।
আরএস খতিয়ান (RS খতিয়ান) কিভাবে চিনবো?
আর এস খতিয়ানের খসড়া খতিয়ান বা মাঠ পর্চা চেনার উপায়:
- এখানে খসড়া খতিয়ানের একটি নম্বর (বুজরত) হয়,
- পাশে ডিপি নম্বর থাকে। ডিপি নম্বরটি পরবর্তীতে চূড়ান্ত ভাবে কম্পিউটার প্রিন্টেড আরএস খতিয়ানে বসে।
- নতুন জেএল ও রেসা নম্বর থাকে।
- দাগ নম্বর এর ছকে পুরাতন (SA)/নতুন (RS) এভাবে পুরাতন ও নতুন দাগ থাকে।
আর এস খতিয়ানের খসড়া খতিয়ান বা মাঠ পর্চা নমুনা |
চূড়ান্ত আর এস খতিয়ান (জরিপ শেষে/গেজেট প্রকাশের পর জমির মালিককে প্রদান করা হয়):
- মাঠ পর্চার ডিপি নম্বর এখানে মূল খতিয়ান নম্বর হিসেবে বসে।
- খতিয়ানটি কম্পিউটার প্রিন্টেড/টাইপ রাইটারে প্রিন্টেড হয়।
- নতুন জেএল ও রেসা নম্বর থাকে।
- দাগ নম্বর এর ছকে নতুন (RS) দাগ নম্বর থাকে।
- উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সিল গোল ও আয়তাকৃতি সীল থাকে।
- আয়তাকার সীল এ রেকর্ড চলাকালীন সময়সীমা লেখা থাকে (যেমন: ১৯৯২ হতে ২০১৪)
- ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসের ভলিউম বইয়ের খতিয়ানগুলোর উপরে পাতা নম্বরের সীল থাকে।
আর এস খতিয়ান - প্রিন্ট পর্চা সেটেলমেন্ট অফিস থেকে প্রদানকৃত |
ডিসি অফিসের সার্টিফাইড আর এস খতিয়ান (জরিপ শেষে/গেজেট প্রকাশের পর থেকে ডিসি অফিসে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রদান করা হয়):
- খতিয়ান এর স্থলে আর এস খতিয়ান পুরো লেখাটি থাকে।
- খতিয়ানটি কম্পিউটার প্রিন্টেড/টাইপ রাইটারে প্রিন্টেড হয়।
- নতুন জেএল ও রেসা নম্বর থাকে।
- দাগ নম্বর এর ছকে নতুন (RS) দাগ নম্বর থাকে।
- ডিসি অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট ৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাক্ষর থাকে।
- কিছু ক্ষেত্রে QR কোড ও নিচে সোর্স লিংক থাকে।
- ২ টাকার কোর্ট ফী বসানো থাকে/নতুন নিয়মে কোর্ট ফী থাকে না।
আর এস খতিয়ান - ডিসি অফিসের রেকর্ড রুম থেকে (নতুন ধরণ):
আর এস খতিয়ান - ডিসি অফিসের রেকর্ড রুম থেকে |
আর এস খতিয়ান - ডিসি অফিসের রেকর্ড রুম থেকে (পূর্বের ধরণ):
আর এস খতিয়ান - ডিসি অফিসের রেকর্ড রুম থেকে |
আরএস খতিয়ান কোথায় পাওয়া যায়?
- জমির মালিকের কাছে: সাধারণত জরিপ বা রেকর্ড শেষে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পর জমির মালিকদের মাইকিং করে বা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হতো। জমির মালিকের কাছে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস প্রদত্ত আরএস খতিয়ান পাওয়া যায়।
- সঠিক খতিয়ান নম্বর জানা থাকলে: সঠিক খতিয়ান নম্বর জানা থাকলে eporcha.gov.bd তে গিয়ে খতিয়ানের নম্বর দিয়ে আরএস খতিয়ানের জন্য আবেদন করা যায়। খতিয়ান ফী ১০০ টাকা। আবেদন শেষে একটি রিসিপ্ট কপি প্রিন্ট হয় সেখানে ডিসি অফিস থেকে সংগ্রহের তারিখ দেয়া থাকে। এছাড়া ডাকযোগে রিসিভ করারও সুবিধা রয়েছে।
- শুধু দাগ নম্বর জানা থাকলে: শুধু দাগ নম্বর জানা থাকলে আর এস খতিয়ান বের করার জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অথবা উপজেলা ভূমি অফিসের রেকর্ড রুমে গিয়ে দাগ ও মালিকের তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করে খতিয়ান নম্বর জানতে হবে। eporcha.gov.bd তে গিয়ে খতিয়ানের নম্বর দিয়ে আরএস খতিয়ানের জন্য আবেদন করে পূর্বের ন্যায় বের করা যাবে। অনেক ভূমি অফিস জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য রেকর্ডরুমের ভলিউম বই থেকে ফটোকপি প্রদান করে। উত্তম হলো ডিসি অফিস থেকে সংগ্রহ করা
- খতিয়ান ও দাগ কোনোটিই জানা না থাকলে: খতিয়ান ও দাগ কিছুই জানা না থাকলে আরএস খতিয়ান বের করার জন্য, ওই মৌজার ও সিট এর মৌজা ম্যাপ আছে এমন কোনো ব্যক্তির কাছে যেতে হবে। যেমন: আমিন বা উপজেলা ভূমি অফিস। সেখান থেকে আপনার জমির অবস্থান অনুযায়ী দাগ নম্বর নির্ণয় করুন। এরপর দাগ নম্বর দিয়ে ভূমি অফিসে গিয়ে খতিয়ান/খতিয়ান নম্বর বের করুন। খতিয়ান নম্বর বের হলে eporcha.gov.bd এ গিয়ে আবেদন করে বের করে নিন।
যোগাযোগ ও সহযোগিতা:
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ: হোয়াটস্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল: KeyToBasics.com Channel
টেলিগ্রাম চ্যানেল: KeyToBasics.com Channel
আমাদের জমি জমা সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপ (হেল্প পোস্ট): জমি জমা সংক্রান্ত হেল্প by KeyToBasics.com
ইউটিউব চ্যানেল: Key To Basics
ফেইসবুক পেইজ: Key To Basics